ঢাকা Sunday, 08 September 2024

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা সন্ত্রাসীসহ গ্রেপ্তার ৫, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 21:07, 11 July 2024

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা সন্ত্রাসীসহ গ্রেপ্তার ৫, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মোছারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোরে ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোছারখোলা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছ।

গ্রেপ্তাররা হলো উখিয়া ক্যাম্প-১৫ এর বাসিন্দা মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. নেছার (৩০), একই ক্যাম্পের আব্দুল জব্বারের ছেলে রবি আলম (১৮), মো. শাকের আহমেদের ছেলে মো. আবুল কালাম (২৮), বাশারের ছেলে মো. আইয়ুব (২২) এবং উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দু রহমানের ছেলে আবুল হোসেন (২০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, র‍্যাব-১৫ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ এ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার একদল সদস্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ক্যাম্পে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ১১ জুলাই ভোরে ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোছারখোলা নামক স্থানে একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে র‍্যাবের আভিযানিক দল সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার ৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার এবং ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কিছু বিভিন্ন অস্ত্রের অ্যামুনিশন জব্দ করে।


গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ইউনুস মাঝি, মৌলভী ইব্রাহিম ও আরাফাতের নেতৃত্বে আরসার ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি গ্রুপ ক্যাম্প-১৫ তে অবস্থান করে। তারা উখিয়া ও হ্নীলার পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় কৃষকসহ নিরীহ লোকদের অপহরণপূর্বক মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। যেসব স্থানীয় কৃষক পাহাড়ি এলাকায় কৃষিক্ষেতে কাজ করতে বা গরু চড়াতে অথবা বনে কাঠ সংগ্রহ করতে যায়, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সুযোগ বুঝে এসব নিরীহ কৃষকদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে এবং নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। এরপর ভিকটিমের চিৎকার তার পরিবারের সদস্যদের ফোনের মাধ্যমে শুনিয়ে মুক্তিপণের টাকা আদায় করে।

গ্রেপ্তাররা আরো জানায়, তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও ব্যবহৃত অস্ত্রের অর্থের যোগানের জন্য মূলত তারা এই অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে।

গ্রেপ্তার ৫ আসামির মধ্যে আবুল হোসেন স্থানীয় বাঙ্গালী। সে মূলত আরসা সন্ত্রাসীদের অপহরণ সংক্রান্ত তথ্যদাতা। কোন কৃষকের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে, কাকে অপহরণ করলে মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই সংক্রান্তে তথ্য আরসা সন্ত্রাসীদের নিকট প্রদান করতো। তাছাড়া টেকনাফ, মহেশখালীসহ অন্যান্য জায়গা থেকে লোকাল অস্ত্র সংগ্রহে সে আরসার সদস্যদের সহযোগিতা করতো বলে জানায়।